
প্রকাশিত: Sat, Dec 9, 2023 12:02 PM আপডেট: Wed, Jul 2, 2025 12:55 PM
[১]গাজায় অর্ধনগ্ন করে শতশত ফিলিস্তিনিকে আটক করল ইসরায়েলি সেনারা
রাশিদুল ইসলাম: [২] সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা, মিডিল ইস্টআই ডটনেটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরিহিত শতশত ফিলিস্তিনিকে চোখ বেঁধে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে রেখেছে।
[৩] এসব বন্দীকে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে, চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এধরনের শতাধিক ব্যক্তিকে একটি খোলা মাঠে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের পাশেই সশস্ত্র ইসরায়েলি সেনাদের দেখা গেছে।
[৪] এসব বন্দী বা আটক ব্যক্তি বর্তমানে কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকজন বন্দীর পরিচয় সহকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিশ্চিত করা গেছে।
[৫] সিএনএন তাদের এক আত্মীয়ের সাথে একটি কথোপকথন এবং তাদের একজন নিয়োগকর্তার বিবৃতি অনুসারে বলছে বন্দীদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে জড়িত নয়।
[৬] ইউরো-মেডিটারিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর এধরনের একটি আটকের চিত্র পোস্ট করে বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিতে বলেছে যে ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে আটক করেছে এবং গুরুতরভাবে নির্যাতন করেছে।’ সূত্র: ইকবাল খান
[৭] ‘ইউরো-মেড মনিটর রিপোর্ট পেয়েছে যে ইসরায়েলি বাহিনী ডাক্তার, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং বয়স্ক পুরুষদের সহ বাস্তুচ্যুত লোকদের বিরুদ্ধে এলোমেলো এবং নির্বিচারে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে।
[৮] ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী ছবিগুলিতে মন্তব্যের জন্য সিএনএন-এর অনুরোধে সাড়া দেয়নি। গাজা শহরের উত্তরে বেইট লাহিয়ায় এমন কিছু ছবি চিহ্নিত করেছে সিএনএন।
[৯] ইসরায়েলি মিডিয়া, কোনো উৎস নির্দেশ না করে, ছবিগুলিকে হামাস সদস্যদের আত্মসমর্পণ হিসাবে চিত্রিত করেছে। বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারিকে একজন সাংবাদিক এই চিত্রগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। জবাবে তিনি বলেন, আমরা অনেক বন্দী, হামাস সন্ত্রাসীদের ছবি দেখেছি, যা আইডিএফএর গাজায় স্থল অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
[১০] হাগারি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি কার সাথে হামাসের সম্পর্ক আছে, আর কার নেই। আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করি। আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা হামাসের দুর্গগুলির প্রতিটি ভেঙে ফেলতে থাকব।
[১১] বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, আল-আরাবি আল-জাদেদ বলেছে যে এসব ছবির একটিতে তাদের একজন সংবাদদাতা এবং তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক দেখা গেছে।
[১২] বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী সাংবাদিক এবং গাজায় ‘দ্য নিউ আরব’ অফিসের পরিচালক দিয়া আল-কাহলোটকে বেইট লাহিয়ার মার্কেট স্ট্রিট থেকে তার ভাই, আত্মীয়দের সহ গ্রেপ্তার করেছে।
[১৩] গাজায় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে ইসরায়েলি সেনারা আটকদের ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের জামাকাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে, তাদের তল্লাশি করে এবং অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের মারধর ও অপমান করে।
[১৪] আল-আরাবি আল-জাদেদ-এর প্রধান সম্পাদক হুসাম কানাফানি বিবৃতিতে বলেছেন যে আল-কাহলোত এবং তার পরিবার এখনও নিখোঁজ।
[১৫] সিএনএন আটক এক ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এক আত্মীয় হানি আল-মাদউন সাথে কথা বলেছে। হানি সিএনএনকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী রাস্তায় এসে সমস্ত পুরুষকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায় এবং তারা বের হয়ে এলে তাদের বন্দী করে নিয়ে যায়। হানি জানান, তিনি গাজায় থাকা তার বোনের সাথে যোগাযোগ করছেন।
[১৬] হানি আরো বলেন, ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর একটিতে তিনি তার চাচাতো ভাই আবৌদকে চিনতে পারেন এবং একটি ভিডিওতে তার ভাই মাহমুদকে দেখেছেন। মাহমুদ একজন দোকানদার এবং আবৌদ কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নয়। সে তার বাবাকে নির্মাণ কাজে সাহায্য করে।
আরও সংবাদ
[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের
[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক
[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস
[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
[১] বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত

[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের

[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক

[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল

[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস

[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
